1. akazad7340@gmail.com : দৈনিক উত্তরের খবর : দৈনিক উত্তরের খবর
  2. info@www.dainikuttarerkhobor.online : দৈনিক উত্তরের খবর :
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন হবে অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনের দুরবস্থায় হতাশ বিসিবি সভাপতি ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ: ১৬ দফা ঘোষণা কুড়িগ্রামে নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেছে: কচাকাটা বিএনপি বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানান প্রধান উপদেষ্টা এইসএসসি পরীক্ষা: বরিশালে এক শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৬ শিক্ষককে অব্যাহতি ২০২৪ সালের নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ বলে স্বীকার সাবেক সিইসি আউয়ালের আবু সাঈদ হত্যা মামলা: তদন্তে অভিযুক্ত ৩০ জন মানবাধিকার রক্ষায় সিআরপিসি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আসিফ নজরুল

রংপুরে শহীদ ছমেছ হত্যাকে নিয়ে বিভ্রান্তি আসামীদের পূর্ণবাসনের চেষ্টা

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আরিফুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি রংপুর

রংপুরে জুলাই ২৪ এর প্রাণহারানো শহীদ ছমেছ উদ্দিনের হত্যার। তার স্ত্রীর দায় করা মামলার আসামী দের পূর্ণবাসন করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে রংপুরের আওয়ামী ফিসিস্ট কিছু সংখ্যাক গণমাধ্যম কর্মীরা। তার স্ত্রী বলেন আমার স্বামীর শহীদি মর্যাদা ওরা কেড়ে নিতে চায়,পুলিশও আ’লীগ নেতাকর্মীদের অতরঙ্কিত হামলায় ছমেছ উদ্দিন তার নিজ দোকান থেকে পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। হামলাকারীরা নৃশংসভাবে ধারালো ছোরা রড লাঠি দিয়ে মাথার পিছনে শরীরের বিভিন্ন যায়গায় আঘাত করে। এ সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে খতের চিহ্ন হয়।স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি, প্রত্যক্ষদর্শীরা আমার স্বামীকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত বলে জানান।এরপর চলে রাতভর তান্ডবনীলা,লাশ তরিঘরি করে দাফন করায় পুলিশি চাপ, গত বছরের ২ই আগষ্ট সন্ধ্যার দিকে আমার স্বামী দোকানে বসা অবস্থায় ছিল।ওই সময় ৪/৫ টি মোটরসাইকেলে করে হেলমেট পড়া ১০ থেকে ১২ জন এসে আমার স্বামীকে মারার উদ্দেশ্যে ভয় দেখায়, এ সময়ে জীবন রক্ষার জন্য আমার স্বামী দোকান হতে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে হামলাকারীরা আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে,দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়, হামলার সময় আ’লীগের আরো কয়েকসংখ্যক কর্মীরা ভীর করে থাকে।নিহত শহীদ ছমেছ উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগম সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলে। আ’লীগ দোসর ও পুলিশী হামলায় নিহত হওয়ায় জামায়াতের কর্মী ছমেছ উদ্দিনকে ‘‘জাতীয় বীরের’’মর্যাদা দিতে গণঅভ্যুত্থান, পরবর্তীতে বাংলাদেশ গেজেট অতিরিক্ত, জানুয়ারি.১৫:২০২৫,গেজেটের পাতা নং-২৮০,গেজেট নং-৪৯৮,মেডিকেল কেস আইডি নং-২২৫৭২।
রংপুর মহানগরীর রাধাকৃষ্ণপুর মৌলভী পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মহিতের ছেলে ছমেছ উদ্দিন তার নিজ বাড়িতে ঘেষা মুদি দোকানে বসে ছিলো গত বছরের ২ই আগষ্ট সন্ধ্যার আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৎকালীন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী জুলাই/২৪ এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কর্মসূচি বানচাল ও প্রতিহত করা সহ প্রয়োজনে গুলি, বোমা, লাঠি,রামদা, কিরিচ,,লোহার রড, চাপাতি,চাইনিজ কুড়াল, ও দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা হত্যা করে হলেও আন্দোলন প্রতিহত করার নির্দেশ দিলে রংপুরের স্থানীয় প্রশাসন,জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের উল্লেখিত চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা গত ২ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে রাধাকৃষ্ণপুরস্থ জামায়াত কর্মী ছমেছ উদ্দিন নিজ দোকানে বসে এ সময় ১২ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি ওয়াহেদুল ইসলাম নেতৃত্বে যুবলীগ কর্মীরা পুলিশ বাহিনীর লোকজন সহ ছমেছ উদ্দিনকে দোকান থেকে নেমে আসার হুমকি দেয়। ছমেছ উদ্দিন হামলাকারীদের উপস্থিতি দেখে জীবন রক্ষার জন্য পালাবার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের ১২ নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন সরকার বলেন ছমেছ উদ্দিন পালাচ্ছে এ সময় অপর হামলাকাররা স্ব স্ব হাতে থাকা মারাত্মক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ছমেছ উদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর রক্তাক্ত যখম আঘাত করে। এ সময় রামদা ও লোহার রড দ্বারা এবং পিঠের পিছনে চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি দ্বারা এলোপাাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে স্থানীয় পুলিশের নিকট ধরে দিলে ছমেছ উদ্দিন অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে স্থানীয় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের দোসর হামলাকারীরা ছমেছ উদ্দিন কে রেখে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা এ সময় ছমেছ উদ্দীনের স্ত্রী আমেনা বেগমকে ভয়-ভীতি এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে আজ তোর স্বামীকে জামায়েত শিবির করার সাধ মিটিয়ে দিয়ে গেলাম সরকার বিরোধী আন্দোলন করার স্বাদ মিটিয়ে দিয়েছি, এবার তোর পালা এ সময় আমেনা বেগমের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে গুরুতর অবস্থায় ছমেছ উদ্দিনকে অপরিচিত অটোরিক্সা যোগে স্থানীয় প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। পরে তাকে তড়িঘড়ি করে অপরিচিত অ্যামবুলেন্জ যুগে
পরে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। মৌলভীপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়, সেটাও তড়িঘড়ি করে, তখন থেকে দেশের অবস্থা ভাল ছিল না আমরাও মামলা করতে সাহস পাইনি, বিগত ৩ জুন হাজির হাট থানায় আমার স্বামীর হত্যার বিচার দাবিতে মামলা করেছি যার মামলা নং-২।

থানা সূত্রে জানা গেছে ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দেলোয়ার হোসেন ও মাহমুদুল হক কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে হাজিরহাট মেট্রোপলিটন থানা পরে গত রোববার বিরোবীর কিছু ভাড়াটিয়া ছাত্র দিয়ে এই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এর দোষর এর পক্ষে ও তার মুক্তির দাবিতে কোট চত্বরে মানববন্ধন করে। তাতেও কোন সুরাহা না হলে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায় এই আওয়ামী দোসর মাহমুদুল হক কে পরবর্তীতে এই ভাড়াটিয়া ছাত্ররা বেরোবির প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিষয়টিকে ভিন্নখাদে প্রবাহিত করে পরবর্তীতে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রংপুরের বিশেষ আদালত মাহমুদুল হকের জামিন মঞ্জুর করে

এ ব্যাপারে গত সোমবার বিকেলে মৃতের গোসল দানকারী মোশারফ হোসেন বলেন মৃত ব্যক্তির মাথার পিছনে ডানদিকে ছুরি দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ও শরীরে বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট দেখতে পাই।

মৃত ব্যক্তির জানাজা পড়ানো নজিরের হাট বায়তুল মামুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মমিনুল ইসলাম বলেন  মৃত ছমেছ উদ্দিন আমার মুসল্লী ছিলেন এবং তিনি ওছিয়ত করেছিলেন তিনি মারা গেলে আমি যাতে তার জানাযা পড়াই,এজন্য আমি মৃত ছমেছ উদ্দিনের জানাজা পড়াই।তখন লোক মুখে শুনতে পাই ছমেছ চাচার উপর পুলিশ ও কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা চালাইছে,আর বেশি কিছু জানিনা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ ব্যাপারে শহীদ ছমেছ উদ্দীনের স্ত্রী আমেনা বেগম আরো বলেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে আমি তাদের গ্রেপ্তার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি, সেই সাথে তিনি তার স্বামীর শহীদি মর্যাদা কেড়ে নেয়ার তৎপরতা চালাচ্ছেন কথিত মহল সেজন্য তাদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি। এদিকে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আল মামুন শাহ্ কে গত রোববার এক আদেশে বদলি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হাজিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন এই মামলার তদন্ত কাজ অব্যাহত আছে এ ব্যাপারে কে দোষী কে নির্দোষী এই মুহূর্তে সেটা আমি বলতে পারব না তদন্ত কাজ শেষ হলেই সেটা প্রমাণিত হবে বলে জানান হাজিরহাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহ্।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট