বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধিদল রবিবার (২২ জুন) সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিনিধিদল প্রথমে সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন অফিসে অভিযোগের একটি কপি জমা দেবেন এবং তারপর থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করবেন।
শায়রুল বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। যেসব নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারচুপি, ত্রুটিপূর্ণ এবং অন্যায্য বলে দাবি করে আসছে বিএনপি।
এর আগে ১৬ জুন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্তের জন্য অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
বিএনপি অভিযোগ করেছে যে, নির্বাচন কমিশন ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে একতরফা নির্বাচন পরিচালনায় আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচনের সময় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিরোধী দলের দাবি উপেক্ষা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে তাদের।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচন বিএনপিসহ বেশিরভাগ বিরোধী দল বর্জন করেছিল। ৩০০ আসনের অর্ধেকেরও বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছিল, যা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তৎকালীন কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে, বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল অভিযোগ করেছিল যে, ভোটগ্রহণের আগের রাতে ব্যালট ভর্তি করা হয়েছিল। সেই নির্বাচনের তত্ত্বাবধান করেছিলেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা।
বিএনপি ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকেও প্রত্যাখ্যান করেছিল, দলটি অংশগ্রহণ না করায় এটিকে ‘ডামি নির্বাচন’ বলে অভিহিত করেছিল। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সেই কমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।