জামায়াতে ইসলামী জন আকাঙ্ক্ষা পূরণ, দেশের স্বার্থে ও জাতীয় প্রয়োজনে যেকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐক্যে যেতে রাজি আছে বলে জানিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। সোমবার (১৬ জুন ) বিকালে খুলনার ডুমুরিয়ার উলা মাজিদিয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা ময়দানে ঈদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, দেশের আদর্শ ও মূল্যবোধ যাতে কেউ ধ্বংস করতে না পারে, সে জন্য দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা করে একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ত্যাগ ও কোরবানির বিনিময়ে অর্জিত সফলতা ধরে রখতে হলে ফ্যাসিবাদীদের বিচার ও সংস্কার ত্বরান্বিত করতে হবে। ইতিবাচক ধারায় দেশের রাজনীতিকে নিয়ে যেতে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, নির্বাচন সামনে আসলে রাজনীতিতে অনেক মেরুকরণ হয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। আমরা চাই দেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম না হোক। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচার সময়ের দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে, তার বিচার এই সরকারের অধীনে হওয়া উচিত। দেশের সব সেক্টরে সংস্কার প্রয়োজন। তবে নির্বাচনের জন্য যেসব সংস্কার প্রয়োজন, সেসব সেক্টরে অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। অন্যথায় আরেকটি ফ্যাসিস্ট হাসিনা তৈরি হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিনিধি নির্বাচিত করে ক্ষমতা হস্তান্তর করা দরকার। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে তাদের দল প্রস্তাবনা দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন গোলাম পরওয়ার। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে দুটি সমস্যা বিদ্যমান ছিল- এক, ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদ কায়েম হয়েছিল। দুই, দিল্লির তাবেদারি করে হাসিনা দেশ চালিয়েছেন। আমাদের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পতিত স্বৈরশাসক হাসিনা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনো বিরোধী দল যায়নি, ভোটকেন্দ্রে ভোটাররাও যায়নি। ডুমুরিয়া উপজেলা আমির মাওলানা মুখতার হুসাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সী মঈনুল ইসলাম ও অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস প্রমুখ।
সূত্র: ইউএনবি