1. akazad7340@gmail.com : দৈনিক উত্তরের খবর : দৈনিক উত্তরের খবর
  2. info@www.dainikuttarerkhobor.online : দৈনিক উত্তরের খবর :
রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জন্মাষ্টমী: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রংপুর বিভাগীয় ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠন রংপুর মিঠাপুকুরে ট্রলির চাপায় এক মহিলা নিহত, ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে মিমাংসা দিনাজপুরে ট্রাক চাপায় কোলের সন্তানসহ মা নিহত রংপুরে হত্যাচেষ্টা মামলায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার মালয়েশিয়ার শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান চোর সন্দেহে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা: ৮ পুলিশ বরখাস্ত, তদন্তে কমিটি লালমনিরহাটে সীমান্তে বিএসএফের পুশইনের চেষ্টা, ৯ বাংলাদেশি নাগরিক আটক চাঁপাইয়ে পদ্মার পানি বেড়ে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, পানিবন্দি সাড়ে ৮ হাজার পরিবার রংপুরে কৃষক গ্রুপের মাঝে রাইস ট্রান্সপ্লান্টর যন্ত্র বিতরণ

বেনাপোল বন্দরে হাঁটুপানিতে পণ্য খালাস, দুর্ভেগে পরিবহন কার্যক্রম

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতের কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ বন্দরটিতে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে বৃষ্টির পানিতে বন্দরজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটু ভারী বৃষ্টিপাত হলেই বন্দর এলাকার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, একই সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের চলাফেরাও দুরূহ হয়ে পড়ে। এমনকি কোথাও কোথাও কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি জমে থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে চর্মরোগসহ স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

বন্দর শ্রমিকরা জানান, বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও গুদামে হাঁটুপানি জমে থাকায় পণ্য খালাস ও পরিবহন কার্যক্রমে বিপর্যয় নেমে এসেছে। ফলে কয়েকটি প্রবেশগেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দরের ইয়ার্ডগুলো জলাশয় মনে হলেও যেখানে ট্রাক পার্কিং ও আমদানি পণ্য খালাস হয়।

তারা আরও জানান, প্রতিদিন হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে কাজ করতে গিয়ে চুলকানিসহ নানা অসুস্থতায় পড়তে হচ্ছে। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে গুদামগুলো নিচু হওয়ায় পানির স্বাভাবিক নিষ্কাশন সম্ভব হয় না। ফলে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে এবং  চলাফেরায় ভোগান্তি বাড়ছে। বন্দরে আগে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কেমিক্যাল সামগ্রী এখনো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, যা বৃষ্টির পানিতে মিশে শ্রমিকদের চর্মরোগে আক্রান্ত করছে।

এ নিয়ে পণ্যবোঝাই ট্রাকের চালকরাও একই অভিযোগ করেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।

ব্যবসায়ী আল মামুন জানান, দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর হলো বেনাপোল। সরকার এই বন্দর থেকে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে থাকে। এত বড় বাণিজ্যিক স্থাপনায় বছরের পর বছর এই দুর্দশা চললেও সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। বৃষ্টির পানি পণ্যাগারে ঢুকে পড়লে লোকসানের শিকার হতে হয় ব্যবসায়ীদের।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, ‘বন্দরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চলাচলে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। পণ্যাগারে যেকোনো সময় পানি ঢুকে পড়তে পারে। এই বন্দরে বছরে ২২ থেকে ২৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়। এসব পণ্য সংরক্ষণে রয়েছে ৩৩টি শেড ও তিনটি ওপেন ইয়ার্ড, একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড। কিন্তু অধিকাংশ অবকাঠামোই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া তৈরি হওয়ায় বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। অথচ এই বন্দর থেকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়।’

বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর মামুন কবীর তরফদার বলেন, ‘রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সূত্র: ইউএনবি

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট