
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় সাতক্ষীরা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মজিবুর রহমান।
এর আগে, ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আলাদা দুটি মামলায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল ওই রায় দেন। অপর ৪৫ আসামিকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আসামিরা হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।
আজ আপিলের শুনানি শেষে সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। আসামীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।
আডভোকেট আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০০২ সালে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর ২০১৪ সালে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলা পেনাল কোড অনুযায়ী, একটি অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে এবং একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে।
তিনি আরও জানান, পেনাল কোডের মামলায় ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে প্রধান আসামি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনকে ১০ বছর করে এবং বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলার সাজা থেকে হাবিবুল ইসলাম খালাস পেয়েছেন। অন্য আসামিদের বিষয়ে মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা দুটি পৃথক মামলায় সাতক্ষীরার আদালত হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন এবং বাকি আসামিদের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন। আজ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।