মোঃ মাইদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের কচাকাটায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্দ্যোগে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় কচাকাটা কলেজ হলরুমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
মাওলানা মোঃ এনামুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী, আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা শাখা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – মাওলানা মোঃ নিজাম উদ্দিন, সেক্রেটারী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা শাখা, মাওলানা মোঃ আব্দুল হামিদ মিয়া, সহকারী সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা শাখা। মোঃ আব্দুল বাতেন (বিএসসি), সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কচাকাটা থানা শাখা এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্তরের জনগণ এবং সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সিরাত আলোচনায় প্রধান অতিথি মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী বলেন, মহানবী (সা.)-এর জীবন, আদর্শ ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের শিক্ষা বিষয়ে বলেন, “নবী করিম (সা.) শুধু কথায় সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন। আজকের অশান্ত ও বৈষম্যময় বিশ্বে তার শিক্ষা সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক। তিনি সহিষ্ণুতার প্রতীক ছিলেন এবং শিক্ষা দিয়েছেন কিভাবে ভিন্নমতকে সহ্য করে সমাজ গড়ে তুলতে হয়। আমরা ফিলিস্তিনের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখতে পাই, সেখানে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম গণহত্যা চালানো হচ্ছে, শিশুদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। আবার মানবাধিকার শিক্ষা দেওয়া রাষ্ট্রগুলোই গণহত্যাকে সমর্থন করছে। অথচ মহানবীর যুগে এমন কোনো যুদ্ধ হয়নি, যেখানে শিশু হত্যার নজির আছে। নবীর শিক্ষা অনুসরণ করলে সমাজ থেকে অন্যায়, হানাহানি ও বৈষম্য দূর হয়ে শান্তি ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে।”বিশেষ অতিথি বলেন, “বর্তমান সমাজে প্রচলিত পুঁজিবাদ ও বৈষম্য যে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে, তা আমাদের সামনে স্পষ্ট। কিন্তু যদি আমরা মহানবীর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে পারি এবং মানুষকে সেই আদর্শে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তাহলে সমাজ থেকে সব ধরনের জবরদস্তি, অত্যাচার ও হানাহানি দূর হয়ে যাবে। মহানবীর শিক্ষা অনুসরণ করলে শান্তি, ন্যায় এবং মানবিক মূল্যবোধ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। “তিনি আরো বলেন, “বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা অনেক সময় দূরের সমাধান খুঁজি। অথচ মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলেই সমস্যার কার্যকর সমাধান সম্ভব।”