1. akazad7340@gmail.com : দৈনিক উত্তরের খবর : দৈনিক উত্তরের খবর
  2. info@www.dainikuttarerkhobor.online : দৈনিক উত্তরের খবর :
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে পূজার কোনাকাটার সময় বাড়িতে চুরি, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট নদী বাঁচাতে আইন দাও, নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও” এ স্লোগানকে সামনে রেখে গ্রীন ভয়েসের’ মানববন্ধন নবীন শিক্ষকদের সংবর্ধনা দিল – বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন, কচাকাটা থানা শাখা কচাকাটায় ইউনিয়ন বিএনপির যৌথ সভায়: সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুর রহমান রানা কাচাকাটায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত গংগাচড়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা ও হেনস্তার অভিযোগের ৩৬দিনেও মেলেনি কোন আইনে ব্যবস্তা রংপুরে ইন্টারন্যাশনাল স্কলার্স স্কুলে ২য় সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কচাকাটায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল গোবিন্দগঞ্জে একমাত্র খেলার মাঠ রক্ষায় সাঁওতালদের বিক্ষোভ সমাবেশ কচাকাটায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

কুড়িগ্রামে ৬২৯ কোটি টাকার ধরলা প্রকল্পে ধস, আতঙ্কে হাজারো পরিবার

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামে ধরলা নদীর তীরে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এতে বিপর্যয়ের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন আশপাশের বাসিন্দারা।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত থেকে প্রায় ৩৫০ মিটার দীর্ঘ বাঁধটির ৩০ মিটার অংশে একের পর এক সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে সহস্রাধিক পরিবার ও কয়েক হাজার হেক্টর আবাদি জমি।

স্থানীয়রা জানান, একের পর এক সিসি ব্লক দেবে যেতে দেখে তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। বাঁধ রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও অবহেলার কারণে বারবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ইতোমধ্যে জিও ব্যাগ ফেলে সাময়িকভাবে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ডাম্পিং জোনে পর্যাপ্ত সিসি ব্লক ফেলা হয়নি। ফলে পানির প্রবল স্রোত বাঁধটিকে আঘাত করছে এবং ধসের ঝুঁকি বাড়ছে।

সারডোব গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই বাঁধ আমাদের রক্ষার কবচ। ধসে গেলে কয়েক হাজার হেক্টর আবাদি জমি ও সহস্রাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ২০২২ সালের বন্যার ক্ষতি আমরা এখনও সামলে উঠতে পারিনি। এবার যদি বাঁধ ভেঙে যায়, গ্রামটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।’

কৃষক আব্দুল হোসনের অভিযোগ করে বলেন, ‘বাঁধের কাজে অনিয়ম হয়েছে। প্রয়োজনীয় সিসি ব্লক না ফেলার কারণে বাঁধ এখন স্রোতের আঘাত সহ্য করতে পারছে না। বাঁধটি যদি রক্ষা না হয়, আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব।’

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) মুন্না হক বলেন, ‘উজানে চর জেগে ওঠায় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে স্রোত সরাসরি বাঁধে আঘাত করছে। এ কারণে বাঁধের কিছু অংশ দেবে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আপাতত জিও ব্যাগ ফেলছি। পানি কমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হবে।’

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, ধসে যাওয়া প্রকল্প এলাকায় রংপুরের ঠিকাদার হাসিবুল হাসান কাজ করেছেন, তবে কাজ হস্তান্তর হয়নি। বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সম্পূর্ণ দায়ভার ঠিকাদারকেই নিতে হবে।

তিরি আরও বলেন, ‘আমরা সর্বদা বাঁধটির ওপর নজর রাখছি। আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষা করা হচ্ছে। পানি নেমে গেলে নিয়ম অনুযায়ী মেরামত করা হবে।

কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য ২০২০ সালে ৬২৯ কোটি টাকার ‘ধরলা প্রকল্প’ হাতে নেওয়া হয়। এর আওতায় ২০ কিলোমিটার ২৯০ মিটার নদীতীর সংরক্ষণ, ১৭ কিলোমিটার ৯০০ মিটার বিকল্প বাঁধ নির্মাণ এবং ১৪ কিলোমিটার ৮৮৯ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এই প্রকল্পের ফলে প্রায় ২২ হাজার ৪০০ পরিবার, ৫০টি হাট-বাজার, ৩০টি নৌ-ঘাট ও ১০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে সারডোব গ্রামের বাঁধে নতুন করে ধসের শঙ্কা প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রশ্ন তুলছে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট