রবিন চৌধুরী রাসেল, রংপুর।
রংপুর মহানগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলা এ নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ ছিল ব্যাপক। নির্বাচনে মোট ২৪৮ জন ভোটার তালিকাভুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে ২৪৭ জন ভোট কাস্ট করেন। বিকেলের পর থেকেই ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দেন তারা। নির্বাচন চলাকালে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোট গণনা শেষে সভাপতি পদে হাবিবুর রহমান ১২০ ভোট পেয়ে মোট ভোটের প্রায় ৪৮.৩৯% লাভ করেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে রাশেদুজ্জামান রিপন বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ২০০ ভোট পান, যা মোট ভোটের প্রায় ৮০.৬৫%। ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় জমায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বিজয়ী সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করব।” সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রিপন জানান, “সংগঠনকে সুসংগঠিত ও কার্যকর করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাব। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মিজু, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহাফুজ উন নবী ডন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সুলতান আলম বুলবুল এবং মহানগর বিএনপির কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহ নেওয়াজ লাবু।স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন, নতুন নেতৃত্বের অধীনে ১৭ নং ওয়ার্ডে বিএনপি আরও গতিশীল হবে। তারা আশা প্রকাশ করেন, নতুন কমিটি এলাকার তরুণ ও প্রবীণ কর্মীদের একত্রিত করে শক্তিশালী সাংগঠনিক ভূমিকা পালন করবে। বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিয়মিতভাবে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ১৭ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, এ ওয়ার্ডটি মহানগরীর রাজনীতিতে সবসময়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, এ ধরনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দলকে সংগঠিত করতে এবং কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।