তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করায় নীলফামারীর ডিমলায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে। গত দু’দিনে উপজেলার খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিসামত ছাতনাই, বাইশপুকুর ও পূর্বখড়িবাড়ী এলাকায় শতাধিক পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
রবিবার (১৭ আগস্ট) ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ডিমলার পাঁচটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এ সময় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ১৫ আগস্ট থেকে নদীর পানি কমতে শুরু করলে সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙনও শুরু হয়।
ভাঙনের শিকার জয়নাল, কোরবান আলী, মজিবর রহমান, আবুল কাসেম, রায়হান, দুদু মন্ডল, আব্দুল কাদের, সিরাজুল, জাহিদুলসহ অনেকে জানান, গত দু’দিনে তাদের মতো অনেকের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বাড়িঘর হারিয়ে সবাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গ্রোয়েন ও স্পার বাঁধসহ অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছে।
খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘ভাঙন কবলিত এলাকায় ত্রাণ হিসেবে চাল, ডাল ও শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে।’
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, ‘ভাঙন কবলিতদের তালিকা করা হচ্ছে। যে কোনো সরকারি সহায়তা পেলে তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া বিভাগীয় প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘ভাঙন ঠেকাতে ইতোমধ্যে কিছু কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়াও যদি কোথাও তীব্র ভাঙন দেখা দেয়, তাহলে জরুরি ভিত্তিতে মোকাবিলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।