1. akazad7340@gmail.com : দৈনিক উত্তরের খবর : দৈনিক উত্তরের খবর
  2. info@www.dainikuttarerkhobor.online : দৈনিক উত্তরের খবর :
শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুর মিঠাপুকুরে ট্রলির চাপায় এক মহিলা নিহত, ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে মিমাংসা দিনাজপুরে ট্রাক চাপায় কোলের সন্তানসহ মা নিহত রংপুরে হত্যাচেষ্টা মামলায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার মালয়েশিয়ার শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান চোর সন্দেহে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা: ৮ পুলিশ বরখাস্ত, তদন্তে কমিটি লালমনিরহাটে সীমান্তে বিএসএফের পুশইনের চেষ্টা, ৯ বাংলাদেশি নাগরিক আটক চাঁপাইয়ে পদ্মার পানি বেড়ে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, পানিবন্দি সাড়ে ৮ হাজার পরিবার রংপুরে কৃষক গ্রুপের মাঝে রাইস ট্রান্সপ্লান্টর যন্ত্র বিতরণ বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, আমরণ অনশন তিস্তার পানি ফের বিপৎসীমার ওপরে, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ছেলের স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখার অপেক্ষায় আবু সাঈদের মা

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

গতকাল ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের বছরপূর্তি। এই দিনে সারা দেশে বিজয় উৎসব হলেও ছেলের স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখাই এখন একমাত্র ইচ্ছা বলে জানিয়েছেন জুলাই বিপ্লবের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম।

মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে যে স্বপ্ন নিয়ে জীবন বিসর্জন দিয়েছে, সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখার অপেক্ষায় আছি। যেন এ দেশে আর কোনো দিন ফ্যাসিস্টের জন্ম না হয়। এ দেশে আর যেন বৈষম্য, হানাহানি, খুনোখুনি না থাকে।’

পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের জাফরপাড়ায় শহীদ আবু সাঈদের পৈতৃক নিবাসে ছেয়ে আছে শূন্যতা। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রয়েছেন বাড়িতে, রয়েছে তার ব্যবহৃত জামা-কাপড়সহ অন্যান্য জিনিসপত্রও।

তবে প্রকৃতির নিয়মে সব আগের মতো চললেও বাবা-মায়ের কাছে আবু সাঈদের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।

রংপুর শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামের জাফরপাড়ার একটি সাধারণ পরিবারের সন্তান ছিলেন আবু সাঈদ। বাড়িতে ঘরের পাশেই আবু সাঈদের কবরের সামনে নিষ্পলক দাঁড়িয়ে ছিলেন মা মনোয়ারা বেগম ও বাবা মকবুল হোসেন।

মা মনোয়ারা বলেন, ‘আমার সন্তানের কারণে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। আমার ছেলের মতো যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়—এটাই সবার কাছে আমার দাবি। সে যে চেতনা নিয়ে বুকের রক্ত দিয়েছে, সেই চেতনার বাংলাদেশ দেখে মরলে শান্তি পাব।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে এখন সবাই আসেন, জানতে চান আমার ছেলের আত্মদানের কথা। সকাল হচ্ছে, সন্ধ্যা হচ্ছে, মানুষজন আগের মতোই বাড়িতে আসেন। কিন্তু হাজার মানুষের ভিড়েও আমার বুকে এক শূন্যতা বিরাজ করে। এক বুক হাহাকার নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত কাটে আমার। সেই শূন্যতা কে পূরণ করবে? আমি একজন মা হিসেবে আমার ছেলের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ দেখার অপেক্ষায় আছি।’

বাবা মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলের আত্মদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ জালিম সরকারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। দেশের মানুষ স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

আন্দোলনে তার ছেলের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছেলেরা পড়াশোনা করে চাকরি না পাওয়ায় আন্দোলন করেছে। এটা ছিল ন্যায্য দাবি।’

আবু সাঈদের হত্যাকারীদের ব্যাপারে মকবুল হোসেন বলেন, ‘যে পুলিশ সদস্য আমার ছেলের বুকে গুলি চালিয়েছে, সেই পুলিশসহ অন্যান্য হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট