মোঃ শহিদুল ইসলাম, রংপুর ব্যুরো চিফ
রংপুর মহানগর হনুমান তলা স্হায়ী বাসিন্দা ডা: শাহিদ হোসেন সৌরভ, বর্তমানে চাকুরী করছেন দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিভাগে সহকারী অধ্যাপক (চলতি দায়িত্ব) পদে। উনি ২৫ তম বিসিএসে চাকুরি পেয়েছেন। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় এস এস সি পরীক্ষা ১৯৯৩ তে স্ট্যান্ড করবেন ভেবে ছিলেন স্ট্যান্ড করতে না পারার পর থেকেই বাড়িতে বাবা মা ছোটভাইকে মারধর করেন। এরপর ১৯৯৫ তে দেন উচ্চ মাধ্যমিক কিন্তু সেখানেও স্ট্যান্ড করতে পারেনি এতে বেড়ে যায় মানসিক অসুস্থতা আরো। পর পর দুইবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেও উত্তীর্ণ হতে পারেনি, এরপর বাবা মাকে মারধর করে জোর করে টাকা নিয়ে ভর্তি হন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে। প্রতিবেশী ও ওনার পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, বেসরকারি মেডিকেলে পড়া অবস্থাতেও সে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে বাবা মা কে মারধর করে টাকা নিতো। তার বিসিএস নিয়েও আছে নানা গুঞ্জন। ২৫ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হবার পরও তথ্য লুকিয়ে পুলিশ ও প্রশাসন ক্যাডারে চাকুরী পাবার আশায় এরপরও তিনি অংশ নেন বিসিএসের ভাইভা পর্যন্ত কিন্তু সেই ক্যাডার আর পাননি ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন ৩০ বিসিএসের সমবায় কর্মকর্তাকে। কিন্তু তার মানসিক সমস্যা ও উগ্রমেজাজের কারণে সেই স্ত্রী বিয়ের ২ মাসের মাথায় তাকে ডিভোর্স দেন। ডিভোর্সের পর থেকে তার মানসিক সমস্যা আরো বাড়তে থাকে, বাড়িতে এসে বাবা মাকে মারধর, ছোট ভাইয়ের জিনিসপত্র ভাংচুর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন চালাতো। ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার তিনি দিনাজপুর থেকে রংপুরে তার নিজ বাসায় আসেন শুক্রবার ১ আগস্ট দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মাকে কোনো কথাবার্তা ছাড়াই চড়থাপ্পড় দেন শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন এক পর্যায়ে তার মাকে উদ্ধারের জন্য ছোট ভাই শোয়েব হোসেন শাকিল এগিয়ে এলে তাকেও কিল ঘুষি দেয়া শুরু করে পরিস্থিতি বিবেচনায় শোয়েব হোসেন শাকিল ৯৯৯ এ কল করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় সহযোগিতা চান এবং তথ্য প্রদান পরবর্তী সময়ে কোতোয়ালি থানার একটি টিম গিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশকে তিনি এই বলে হুংকার দেন যে, আমি সরকারী ডাক্তার আপনারা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কে? আপনি একজন উচ্চ পদস্থ ডাক্তার আপনি সামান্য এ এস আই কোন সাহসে আমাকে প্রশ্ন করেন, ভাই বলে সম্বোধন করেন। এরপর পুলিশ উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কোতোয়ালি থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, ডাঃ শাহিদ হোসেন সৌরভ ১ আগস্ট একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অপর দিকে শোয়েব হোসেন শাকিল রাত ৯ টা ৩০ এর দিকে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে, তার বড় ভাই ডাঃ শাহিদ হোসেন সৌরভ বদ মেজাজী ও উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির ডা : শাহিদ হোসেন সৌরভ তার পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় তার পিতাকে সামান্য বিষয় নিয়ে মারপিট করতেও কুণ্ঠাবোধ করতো না। আমার পিতার মৃত্যুর ৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও ডাঃ শাহিদ হোসেন সৌরভের আচার আচরণের কোনোরূপ পরিবর্তন হয় নাই। বরং সে সামান্য বিষয় নিয়ে আমার মা-সহ আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ মারপিট করে থাকে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডাক্তার শাহিদ হোসেন সৌরভের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয় কথা বলবেনা বলে জানান। কোতায়ালী থানার ওসি জনাব মোঃ আতাউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন উভয়পক্ষের অভিযোগপত্র আমার পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করবার নির্দেশ দিয়েছি।