মোঃ রমজান আলী, প্রতিষ্ঠাতা Dash
ভাইরাল জ্বর, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টাইফয়েড, জন্ডিস এবং ওমিক্রন (করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট) বর্তমানে বর্ষাকাল ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফল;
একসাথে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব রোগের উপসর্গ যেমন জ্বর, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, বমি, পেট ব্যথা, গায়ে ব্যথা — অনেকটাই একরকম, ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক রোগ শনাক্তকরণ জরুরি।
✅ প্রতিরোধ ও প্রতিকার: রোগভেদে সংক্ষিপ্ত গাইড
১.ভিটামিন ডি পযাপ্ত থাকা ৮০-৯০-১০০ থাকতে হবে,ডি- রাইজ/সূযালো তে তেল মেথে ২০ মি দ্বারাতে হবে/দেশী হাসের ডিম/ঘী
২.গাট ক্লিয়ার রাখতে হবে; প্রবায়োটিকস পযাপ্ত থাকতে হবে,এ্যাকটেরিয়া /প্রোবায়োটিকস/ কান্জি / বীটকাভাস /ঘরে তৈরি তাপ,চিনি ছাড়া টক দইখেতে হবে,
৩;ভাল তেল/ চর্বী/গুড ফ্যাট/ এমসিটি /নারকেলের তেল/অলিবঅয়েল খেতে হবে
🔴 ডেঙ্গু / চিকুনগুনিয়া: মশাবাহিত ভাইরাস
উপসর্গ: হাই জ্বর, চোখের পেছনে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, স্কিন র্যাশ, প্লেটলেট কমে যাওয়া
প্রতিরোধ:
• দিনের বেলাতেও মশারি ব্যবহার
• জমা পানি পরিষ্কার রাখা
• ফুল হাতা জামা ও মোজা পরা
• পিপিআই (Mosquito Repellent) ব্যবহার
প্রতিকার:
• প্যারাসিটামল (জ্বরের সময়)
• হাইড্রেশন বাড়ান – পিংসল্ট, ডাবের পানি, ওআরএস ঘরে তৈরি দেশী জুস
• প্লেটলেট বাড়াতে সহায়ক -লিপীগ্রীন জুস– পেঁপে পাতার রস,“লিপীগ্রিন ইমিউন এলিক্সার”ক্রোরোফিল নিম্নে আছে
• পর্যাপ্ত বিশ্রাম
• রক্ত বা প্লেটলেট কাউন্ট মনিটর করুন
🔴 টাইফয়েড (Salmonella সংক্রমণ)
উপসর্গ: ধীরে বাড়া জ্বর, মাথাব্যথা, পেটব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, খাবারে অরুচি
প্রতিরোধ:
• পযাপ্ত বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার
• বাইরের রাস্তার খাবার পরিহার
• হাত ধোয়ার অভ্যাস
• টিকা (Typhoid Vaccine)
প্রতিকার:
• চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক,
• প্লেটলেট বাড়াতে সহায়ক -লিপীগ্রীন জুস– পেঁপে পাতার রস,“লিপীগ্রিন ইমিউন এলিক্সার”ক্রোরোফিল নিম্নে আছে
• তরল ও হালকা খাবার (সুপ, ভাত, খিচুড়ি)
• প্রোবায়োটিক (দই, হজম সহায়ক)
🟡 জন্ডিস (Hepatitis A/E)
উপসর্গ: চোখ-চামড়ার হলদে ভাব, প্রস্রাব হলুদ, দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা
প্রতিরোধ:
• পরিষ্কার পানি
• হাইজিন মেনে চলা
• রাস্তার পানীয়-জুস এড়িয়ে চলা।
• প্লেটলেট বাড়াতে সহায়ক -লিপীগ্রীন জুস– পেঁপে পাতার রস,“লিপীগ্রিন ইমিউন এলিক্সার”ক্রোরোফিল নিম্নে আছে
প্রতিকার:
• বেশি বিশ্রাম
• হালকা ও সহজ পাচ্য খাবার
• সজনে পাতা / পেঁপে / অরেঞ্জ / বিটের রস – লিভার ডিটক্সে সহায়ক
• চিকিৎসক নির্দেশিত হেপাটাইটিস টেস্ট
🟠 ইনফ্লুয়েঞ্জা / ওমিক্রন (Corona Variant)
উপসর্গ: সর্দি, কাশি, জ্বর, শরীরে ব্যথা, স্বাদ/ঘ্রাণ হ্রাস (ওমিক্রনের ক্ষেত্রে সাধারণ ঠাণ্ডার মত), ক্লান্তি
প্রতিরোধ:
• ভিড় এড়িয়ে চলা
• মাস্ক পরা
• হাত ধোয়া
• ইমিউনিটি বাড়ানো খাবার খাওয়া
প্রতিকার:
• হালকা গরম পানির ভাপ
• আদা-লেবু-তুলসী চা
• ভিটামিন সি, জিঙ্ক, ডি3
• প্রয়োজন হলে করোনা পরীক্ষা
🌿 সকল ভাইরাল জ্বরের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক প্রতিকার ও সাপোর্টিভ কেয়ার:
উপাদান উপকারিতা
🥥 ডাবের পানি হাইড্রেশন ও ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালান্স
🍋 লেবু-আদা-তুলসী-শুধু পানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
🧄 কাঁচা রসুন অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিবায়োটিক গুণ
🍵 তুলসী+মধু+কালোজিরা চা ফ্লু ও ভাইরাল প্রতিরোধে
🧂 ওআরএস / স্যালাইন পানিশূন্যতা রোধ
🥗 সহজপাচ্য খাবার (ভাত, খিচুড়ি, ডিম, স্যুপ) শরীরকে পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে
🧾 একটি দৈনিক চেকলিস্ট (ভাইরাল জ্বর প্রতিরোধ ও দ্রুত সুস্থতা):
✅ দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি
✅ প্রতিদিন ভিটামিন সি (লেবু/আমলকি/মাল্টা)
✅ দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম
✅ মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
✅ হালকা, কম তেল-মসলা খাবার
✅ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়া
✅ বাড়িতে ইনফেক্টেড থাকলে আলাদা রুম ও প্লেট ব্যবহার
📢 চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া:
❌ অ্যান্টিবায়োটিক
❌ উচ্চ ডোজ পেইনকিলার
❌ বাইরের অপরিষ্কার পানীয়-খাবার
❌ নিজে নিজে ওষুধ পরিবর্তন না করা
– শহর/গ্রাম/হাসপাতাল/স্কুল/NGO ব্যবহারের জন্য