রবিন চৌধুরী রাসেল, রংপুর।
রংপুর নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডের মনোহরপুর ও বড়বাড়ী মৌজাস্থ “মনোহরপুর সিংগিমারী বিল জলমহল” থেকে জবরদখল করে মাছ উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মারুফগং এর নামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুন্ডি কিসামত মাধবপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিঃ” প্রায় দীর্ঘ ১২ বছর যাবত “মনোহরপুর সিংগিমারী বিল জলমহল” জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষাবাদ করে আসছি। একই সঙ্গে বিল সংলগ্ন জমিতে গাছ লাগিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহ করিয়া আসতেছি।
এমতবস্থায় দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছুদিন হইতে মারুফগং বিলের মাছ ও জমিতে লাগানো গাছের ক্ষতি করবে বলে বার বার ভয় দেখিয়ে এবং অবৈধভাবে বিল দখলের চেষ্টা করে আসছে। আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে অভিযোগ আকারে লিখে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারকে অবগত করি।এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে বিস্তারিত শুনে দুইপক্ষকেই বলে সরকারিভাবে লিজ না পাওয়া পর্যন্ত জলমহলটি নিয়ে কেউ জবরদখল করবেন না। ইতোমধ্যে মাছ উত্তোলনের সময় হয়ে যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৪/০৭/২০২৫ ইং তারিখে সকাল ১০ টার সময় মারুফগং মনোহরপুর ও বড়বাড়ী মৌজাস্থ জায়গায় এসে “মনোহরপুর সিংগিমারী বিল জলমহল” জবরদখল পূবর্ক সেখান থেকে দুপুর ১২ টার দিকে বিল থেকে মাছ প্রায় ৫ থেকে ৭ মণের মত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উত্তোলন করে। যার মূল্য প্রায় ৫০,০০০/- টাকার মাছ নিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় বিল সংলগ্ন জমিতে থাকা কলা বাগানের গাছ গুলো কেটে ফেলে। যার মূল্য প্রায় ৩০,০০০/- টাকার ক্ষতি করে।
ভুক্তভোগী বলেন, হঠাৎ দেড় মাস আগে মারুফসহ কয়েকজন ছেলে মিলে আমার মাছ ছাড়া বিলে জোড় করে পোনামাছ ছাড়তে আসে,এসময় আমি মারুফগংকে বাঁধা দিলে তারা আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে। একই সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি হুমকি দেখায়।
এ বিষয়ে মারুফকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, আমরা সরকারি নিয়মে আবেদন করে লিজ পেয়েছি। আমাদের কাছে সব কাগজপত্র আছে। তার কাছে কাগজ দেখতে চাইলে মারুফ বলে আমি ঢাকায় আছি। আপনি একটু অপেক্ষা করেন। আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এলাকা থেকে কয়েকজনকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
পরবর্তীতে ফেরদৌস, মোস্তফা ও আজাদ নামের কয়েকজন এসে বলে, মারুফ ভাই আমাদেরকে পাঠিয়েছে। তাদেরকে লিজ নেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, আমরা লিজের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আমাদের বিডি বেশি হওয়ায়, ডিসি অফিসের লিজ কর্মকর্তার পরামর্শে, আমরা এসে এই বিলটা দখল করি।
এই বিষয়ে জানার জন্য মেট্রো কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন, এই বিষয়ে এর আগেও ঝামেলা ও অভিযোগ হয়েছিল পুলিশ গিয়ে সমাধান করে এসেছিলো। আবারও অভিযোগ দিয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।