গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার দিনভর দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর সেখানে কারফিউ জারি করেছে সরকার। গতকাল রাত থেকে চলছে ২২ ঘণ্টার কারফিউ।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, চলমান কারফিউতে জেলায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সড়কে সীমিত সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটছেন।
তবে সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সড়কে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন কোনো উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
আজ সকালে শহরের ঘোনাপাড়া, এলজিইডি মোড়, গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, কোর্ট চত্বর, লঞ্চঘাট, কাঁচাবাজার ও পুলিশ লাইন্স মোড় ঘুরে কোথাও কোনো চেকপোস্ট বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। তবে গোপালগঞ্জ পৌরসভার সামনে কয়েকজন গ্রামপুলিশ সদস্য ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে বিভিন্ন মোড়ে চায়ের দোকান ও রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে, সেখানে কিছু মানুষের জটলা দেখা যায়। কাঁচাবাজার এলাকায় রাস্তার পাশে ফলের দোকানে বেশকিছু লোকজন ছিল।
এদিকে, কারফিউয়ের কারণে স্থানীয়ভাবে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গতকাল রাত ৮টা থেকে কারফিউ শুরু হয়, যেটি চলবে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, গতকাল বিকালে গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুর যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন এনসিপির নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। পরে তাদের সঙ্গে ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্যও যোগ দেন।
হামলার মুখে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন এনসিপি নেতারা। সে সময় দেশবাসীকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে গোপালগঞ্জে রওনা দেওয়ার আহ্বানও জানান তারা।
এরপর সেনাবাহিনীর সহায়তায় গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন এনসিপি নেতারা। পরে ১৪৪ ধারা জারি করে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন।